বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
সাপ্তাহিক সাহসী সময়ের ২৬তম বর্ষে পদার্পনে সকলকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন ৫৩তম মহান বিজয় দিবস আজ নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে খেজুরের কাঁচা রস পান না করার জন্য আহবান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচি রাজবাড়ীতে হারানো ৩৫টি মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করল পুলিশ রাজবাড়ীতে গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি কালুখালী উপজেলার হোগলাডাঙ্গী মাদ্রাসা থেকে দাখিল-আলিম পরীক্ষার কেন্দ্র স্থানান্তরে ১১টি মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম অনিশ্চয়তার পথে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলায় ভ্যান উল্টে গভীর গর্তে পড়ে মসলা বিক্রেতা নিহত রাজবাড়ীতে সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন ডিজিটাল যোগাযোগ ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের উদীয়মান ক্ষেত্র ঃ ভার্মা
কম খরচে বাদাম চাষে খুশি গোয়ালন্দের চরের কৃষকরা

কম খরচে বাদাম চাষে খুশি গোয়ালন্দের চরের কৃষকরা

॥মইনুল হক মৃধা॥ বাদাম চাষে কম খরচে লাভের মুখ দেখছেন রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার চরের কৃষকরা।

কৃষকরা জানায়, চরের জমি উর্বর হওয়ায় বেশি সার দিতে হয় না। তাই কম খরচে চাষ করা যায়। বীজ রোপণের তিন মাসের মধ্যে বাদাম তোলা যায়।

তবে ফলন ভালো হলেও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা না থাকায় কাঙ্খিত লাভ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে কৃষক ও কৃষি বিভাগের ভাষ্য।

গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পদ্মার চরজুড়ে এখন বাদাম তোলার ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। চর মহিদাপুর, চর কইন্নাশনা, রাখালগাছি, বেতকা চরসহ বিভিন্ন এলাকার আরও কয়েকটি চরে বাদাম আবাদ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জনিয়েছে, উপজেলায় এ বছর ১৯৫ হেক্টর ও ১৫০ লক্ষ্যমাত্রা জমিতে বাদাম আবাদ হয়েছে।

দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বাহিরচর দৌলতদিয়ার সাত্তার মেম্বার পাড়া এলাকার  বাদাম চাষি হানিফ খাঁ বলনে, “গতবার আমি ৫ বিঘা জমিতে বাদম চাষ করেছি। আমার মোট খরচ হয়েছে ২৫-৩০ হাজার টাকা। আর বাদাম বিক্রি করেছি ৯০ হাজার টাকায়। আমার প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এবারও ৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি; জানি না এবার কী হবে। এবার প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে।”

উত্তর দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকার আরেক বাদাম চাষি মহিউদ্দিন শেখ বলনে, “গত বছর ২ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। এ বছর ৩ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর বাদাম ভালো আছে। লাভও বেশি হবে বলে আশা করছি।”

তবে চাষিদের অভিযোগ, গোয়ালন্দ বাজারে বাদাম বিক্রির কোনো শেড না থাকায় ৮ হাজার টাকার বাদাম বিক্রি করতে হচ্ছে ৬ হাজার টাকায়। এতে তারা ক্ষতগ্রিস্ত হচ্ছেন। একটি বাজারে শেডের ব্যবস্থা করলে লাভবান হতে পারতেন বলে মনে করেছেন তারা।

অন্তরমোড় চরের রোস্তম আলী (৬০) বলেন, “বাবারে হামরা তো চরের মানুষ, চরেই থাহি, চরেই আমাগেরে বাড়ি-ঘর। আর তোমরা তো বাদামের কথা কইছাও। আমি এবার বাদাম চাষ করছি ১ একর জমিতে। বাদাম তো ভালোই হইছে। সরকার যদি আমাগেরে দিকে তাকায় তাহলে ভালোই দাম পাবানি। বাদামে তো এহন খরচ কম হয়, অন্য আবাদের চেয়ে। তাই বাদাম চাষ করছি। লাভ তো ভালোই হয়।”

উপজেলা কৃষি বিভাগ ও বাদাম চাষিরা জানান, অক্টোবর থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাদামের বীজ লাগানো হয়। জানুয়ারী থেকে এপ্রিল র্পযন্ত সময়ে বাদাম তোলা শুরু হয়। বীজ লাগানোর আগে চাষ দিয়ে মাটি সামান্য নরম করে নিতে হয়; আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। তারপর সারি করে লাগানো হয় বাদাম বীজ।

গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক বাদাম চাষিকে সার, বীজ দেওয়া হয়েছে। আর প্রণোদনা হিসেবে ১২০ জন কৃষককে ডিএপি ১০ কেজি, সার ৫ কেজি, বারী-৮ বীজ ১০ কেজি করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, উপজেলা চরের মাটি উর্বর হওয়ায় বেশি সার কিংবা কীটনাশক দিতে হয় না। তিন মাসের মধ্যই বাদাম ঘরে তোলেন চাষিরা। তাই অল্প কষ্টে অধিক লাভে খুশি বাদাম চাষিরা। “তবে বাদাম বাজারজাতকরণে কিছু সমস্যা রয়েছে। এর ফলে কৃষকরা তেমন লাভবান হতে পারছেন না।” বাদাম জমি থেকে তোলার সঙ্গে সঙ্গে বাজারজাত না করে শুকিয়ে গুদামজাত করে পরে বাজারজাত করা হলে কৃষকরা অধকি লাভবান হবেন বলে তিনি মনে করেন।

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved  2022 sahasisamoy
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!